ঢাকা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৪:৫০:০৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

অনাস্থা ভোটে সরানো হলো সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে

| ১১ আশ্বিন ১৪২৫ | Wednesday, September 26, 2018

অনাস্থা ভোটে সরানো হলো সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকেস্টেফান লোফভেন

সুইডিশ পার্লামেন্টে বিরোধী জোট অর্থাৎ ডানপন্থী অ্যালায়েন্স কট্টর ডানপন্থী সুইডেন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনকে প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগে বাধ্য করাল। গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যান লোফভেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সুইডেনের জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে বিরোধী জোট প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে এলেও স্টেফান লোফভেন তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী নির্বাচন শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পরে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে। বিরোধী জোটের দাবি উপেক্ষা করার পরে তারা হুমকি দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম অধিবেশনেই ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে এবং তা-ই করা হলো, যা সুইডেনের রাজনৈতিক ইতিহাসে নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা। ‘হ্যাঁ-না’ ভোটে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান লোফভেনের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪২টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২০৪টি। তিনজন পার্লামেন্ট সদস্য অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন।

সুইডেনের প্রধান দুই জোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৭.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে হিটলারের নািস আদর্শের অনুসারী উগ্র বর্ণবাদী দল ‘সুইডেন ডেমোক্র্যাট’। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন তিনদলীয় বাম জোট পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ এবং মডারেট দল নেতৃত্বাধীন চারদলীয় মধ্য ও ডানপন্থী বিরোধী জোট পেয়েছিল ৪০.৩ শতাংশ ভোট। সংসদীয় আসনের হিসাবে বাম জোট পেয়েছিল ১৪৪টি, মধ্য ও ডান জোট ১৪৩টি এবং সুইডেন ডেমোক্র্যাট এককভাবে পেয়েছিল ৬২টি আসন।

প্রধানমন্ত্রী লোফভেনের পদত্যাগের পর নিয়মানুসারে সুইডিশ পার্লামেন্টের স্পিকার আন্দ্রেয়াস নোরলেন এরপর সংসদের সব দলকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন এবং পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য অন্য কাউকে মনোনীত করবেন। সে ক্ষেত্রে ডানপন্থী জোট এবং মোডারেট পার্টির প্রধান উল্ফ ক্রিস্টিয়ানসনকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে উল্ফ ক্রিস্টিয়ানসনকে উগ্র ডানপন্থী সুইডেন ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রথম কাজ হবে একটি সরকার গঠন করা। তবে সরকার গঠন করতে গিয়ে তাঁকে আবারও সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ বর্ণবাদী দল সুইডেন ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়া তাঁর পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সুইডেন ডেমোক্র্যাট ভারসাম্য দল হিসেবে সরকারে না থেকেও সরকারের ওপর তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ব খাটানোর সুযোগ হাতছাড়া করবে না।