ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:৪৬:৩৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

অনার্স কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাচ্ছে

| ২৩ অগ্রহায়ন ১৪২১ | Sunday, December 7, 2014

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক সম্মান (অনার্স) পড়ানো হয়, এমন সরকারি কলেজগুলো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি সবগুলো সরকারি কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য আজ রোববার ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডাকা হয়েছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপাচার্যদের মত নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ আছে দুই হাজার ১৫৪টি। এর মধ্যে অনার্স পড়ানো হয় এমন কলেজের সংখ্যা ৫৫৭টি। সরকারি কলেজ আছে ২৭৯টি। এর মধ্যে সম্মান পড়ানো হয় এমন সরকারি কলেজ ১৮১টি।
প্রধানমন্ত্রী গত ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব সরকারি কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এরপর মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ইউজিসি আজ উপাচার্যদের নিয়ে সভা আহ্বান করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সূত্রমতে, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। শিক্ষার্থী ও কলেজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এত চাপ সামলাতে পারছে না। তা ছাড়া যে চিন্তা থেকে দুই দশক আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা পূরণে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
এসব কারণে ২০০৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামো ভেঙে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপককে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য এবং একজন বেসরকারি শিক্ষকনেতাকে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার পর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রক্ষার অঙ্গীকার করেন। শেষমেশ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করাই হয়ে ওঠে তাঁদের অন্যতম কাজ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক মনে করছেন, কেবল সরকারি কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গেলে বেসরকারি কলেজগুলোর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পাস করা শিক্ষার্থী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী, আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন সরকারি কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর মান ও তাঁদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য হতে পারে।